Clutch Gaming Chair Review, Throttle Series of Clutch Gaming Chair

Clutch Gaming Chair Review, Throttle Series of Clutch Gaming Chair
Clutch Gaming Chair Review, Throttle Series of Clutch Gaming Chair
Clutch Gaming Chair Review: Throttle Series of Clutch Gaming Chair গেমার দের মধ্যে এই চেয়ারটির যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। যদিও ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত চেয়ার প্রস্তুকারক এই কোম্পানি টি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির চেয়ার তৈরি করে না । তবুও বাজেট চেয়ার গুলোর মধ্য এই সিরিজের চেয়ার গুলো সেরা । অল্প সময়ে এরা এত জনপ্রিয় এদের গঠন কোয়ালিটির জন্যই।

Clutch Gaming Chair Review, Throttle Series of Clutch Gaming Chair

আমরা যদি একটি হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন চেয়ার খুঁজি তাহলে বাজারে খুব কম সংখ্যক চেয়ার ই পাবো । যারা নিয়মিত গেমিং করেন , লাইভ স্ট্রিমিং করেন কিংবা ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েট করেন তাদের অবশ্যই একটা সুন্দর লুকিং এর চেয়ার দরকার হয় প্রফেশনাল সেটআপ এর জন্য । তাছাড়াও যারা দীর্ঘ সময় বসে কম্পিউটারে কাজ করেন বা স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় তারা অন্যান্য সাধারণ চেয়ার এর তুলনায় সামান্য বাজেট বাড়িয়ে এরকম একটি গেমিং চেয়ার নিতে পারেন । 
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক চেয়ার টি আপনার জন্য কতটুকু উপযুক্ত আর চেয়ার টি কিনা আপনার উচিত হবে কিনা । 

Throttle গেমিং চেয়ারের যত সুবিধা :

  • অনেক সুন্দর ডিজাইন । সাথে অতিরিক্ত ফ্রি কুশন । 
  • বসার সিট যথেষ্ট প্রশস্ত এবং রেসিং গাড়ির সিটের মতন হাওয়া বাতাস পরিবহনযোগ্য উপাদান দ্বারা তৈরি । 
  • মেকানিজম খুবই সুন্দর যার কারণে এর লক সিস্টেম ১২ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরানো যায় । 
  • পেছনের দিকে প্রায় ১৩৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হেলান দেওয়া যায় । 

শুরুতেই আমি এই চেয়ারের কিছু সুবিধাজনক দিকগুলো আলোচনা করে নিয়েছি যাতে আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয় । ক্লাচ চেয়ারগুলো সম্পর্কে আপনাদের অবশ্যই ধারণা আছে যদি আপনি গেমিং জগতে পুরানো । ১৫ থেকে প্রায় ৪০ হাজার বাজেটের মধ্যে বিভিন্ন মডেলের চেয়ার পাবেন এই ব্র্যান্ডের । 

যাইহোক Throttle সিরিজে বেশ কয়েকটি চেয়ার রয়েছে । Crank সিরিজ , ডেল্টা চেয়ার , থ্রটল এবং শিফট সিরিজ চেয়ার । সবগুলো চেয়ারই প্রত্যেকটি থেকে আলাদা । তাদের সবগুলো ডিজাইনও একরকম নয় । কোনোটির মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে আবার কোনটি কোনটি সম্পূর্ণ আলাদা । কোনোটির সিট একটু প্রশস্ত কোনটির রং আলাদা অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে ভিন্ন ভিন্ন সাইজ এবং ভিন্ন ভিন্ন গঠনের চেয়ার । 

Throttle সিরিজের এই চেয়ারটি শুধুমাত্র দেখতে অনেক সুন্দর সেটা নয় তার সাথে খুবই আরামদায়ক । আমি যখন আমার পুরনো গেমিং চেয়ার ব্যবহার করতাম তখন চেয়ারটিতে বসে দীর্ঘ সময় সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করার ফলে আমার কোমরে যথেষ্ট ব্যথা হয়ে গিয়েছিল । কারণ সামান্য সামনের দিকে ঢুকলে আমার পিঠের অংশ এবং চেয়ারের বডির মধ্য যথেষ্ট দূরত্বের সৃষ্টি হয় । কিন্তু Throttle চেয়ার টি ব্যবহার করে আমি সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছি । এখন যদি আমি সামনের দিকেও ঝুঁকে যায় তারপরেও চেয়ার টি আমার পিঠের সাথে লেগে থাকে যেটি আমার কোমরকে ব্যথা হতে মুক্তি দেয় ।

আর্ম রেস্ট :

বাজারের অন্যান্য গেমিং চেয়ার গুলোর মত এটিতে রয়েছে 4D আর্ম রেস্ট । যার সাহায্যে আপনি দুই পাশের হাত রাখার স্থানটি সামনে পেছনে কিংবা উঁচুনিচু ইচ্ছে মতন অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারবেন । এতে করে আপনার কোন এবং সম্পূর্ণ হাত দুটি খুবই সুবিধাজনক স্থানে থাকে যেটি আপনাকে শারীরিকভাবে রিলাক্স এর সাহায্য করে এবং দুই হাতের অংশগুলোকে রক্ত পরিবহনের সহায়তা করে । আপনি এই সিরিজের বা অন্য যে কোন মডেল কিংবা ব্র্যান্ডের চেয়ার যেটি ই কিনেন না কেনো । চেয়ারটিতে আর্ম রেস্ট এডজাস্টেবল কিনা সেটি অবশ্যই যাচাই করে নিবেন । কারণ মানসম্মত চেয়ারগুলোতে অবশ্যই ফোরডি অ্যাডজাস্টেবল হাত রাখার কাঠামো বা আর্ম রেস্ট থাকবে । 

পারফরম্যান্স: 

Throttle সিরিজের এই চেয়ারটির পারফরম্যান্স খুবই অসাধারণ । স্পেশাল এই চেয়ার টি দীর্ঘ সময় গেমিং এর জন্য খুব সুন্দর ভাবে মানানসই । অত্যন্ত কর্মক্ষমতা সম্পন্ন চেয়ারটির সব রকমের বডি টাইপের সাথে খুব সুন্দর ভাবে মানানসই হয় । অবশ্য চেয়ারটির বডি একটু ভারী টাইপ লোকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ।তবে হালকা গরমের লোকদের সাথেও খুব সুন্দর ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যাবে । চেয়ারটির পিইউ লেদার এতটাই কমফোর্টেবল যে যেটি আপনাকে লম্বা সময় কাজ করার উৎসাহ যোগাবে । 

যদিও সব রকমের গেমিং চেয়ার উচ্চ পারফরম্যান্স প্রদানের জন্য তৈরি করা হয় । তারপরেও চেয়ার তৈরির উপাদান ভেদে এর অনেক তারতম দেখা যায় । কিছু কিছু নিম্নমানের চেয়ার এ অনেক অংশে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় যার ফলে চেয়ারের পারফরম্যান্স অনেক কমে যায় এবং এটিতে বসে গেমিং করা খুব একটা ভালো ফল এনে দেয় না । 

সমাবেশ: 

মার্কেট থেকে কিংবা অনলাইনে অর্ডার করে হাতে পাওয়ার পর এর যন্ত্রাংশগুলো যুক্ত করতে প্রায় ৪৫ থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে । তবে যুক্ত করতে খুব বেশি ঝামেলা পোহাতে হবে না এবং এর জন্য বাড়তি কোন সরঞ্জাম কিংবা এক্সপার্ট এর প্রয়োজন নেই । ইউটিউব কিংবা ম্যানুয়াল দেখে আপনি নিজেই বাসায় এটি করতে পারবেন । আর যদি অফলাইন মার্কেট থেকে কিনেন তাহলে দোকানে এক্সপার্ট দিয়ে এডজাস্ট করে সুন্দর করে রিক্সা করে বাসায় নিয়ে আসতে পারবেন । 

বিভিন্ন কার্যকারিতা : 

  • চার দিক নির্দেশক আর্ম রেস্ট । যা আপনার বাহুকে ইচ্ছামতন অবস্থান করতে সহায়তা করে । 
  • লক মেকানিজম ১২ ডিগ্রী পর্যন্ত ঘুরানো যায় । 
  • চেয়ারটিতে বাহুতে স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলের ভারী লোকজন আনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন ।।
  • ক্লাস ফোর গ্যাস সিলিন্ডার দুটি ১৫০ কেজি পর্যন্ত ওজন ধারণ করতে সক্ষম । (BIFTA tested) 
  • হেড রেস্ট , লুম্বার সাপোর্ট এবং উন্নত মানের ব্র্যান্ডেড কুশন ব্যবহার করা হয়েছে । 
  • কাস্টার্ডে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ফ্লোর এর উপরে দাগ না পরে । এবং কার্পেট সহ সকল প্রকারের ফ্লোর এর উপর অনেকটা নিঃশব্দে নড়াচড়া করতে পারে । 
  • পেছনের দিকে হেলান দেওয়ার সুবিধা রয়েছে ।
  • যেহেতু এর বসার সিট অনেক প্রশস্ত । সেহেতু এটিতে বসে আপনি ডান দিয়ে কিংবা বাম দিকে নড়াচড়ার পর যথেষ্ট সুযোগ পাবেন । 
  • চেয়ারটি প্রায় ১৫০ কেজি ওজন ধারণ করতে সক্ষম । যেখানে চেয়ারটির ওজন প্রায় 28 কেজি । 
  • প্রথমদিকে যদিও কুশনটি শক্ত থাকে কিন্তু ব্যবহারের ফলে আস্তে আস্তে সেটি নরম হয়ে যায় । 

স্টাইল: 

লাল রঙের সাথে কালো রঙের মিশ্রণের ভেরিয়েন্টটি দেখতে খুবই সুন্দর । বাসার পরিবেশের সাথে অনেক সুন্দর মানানসই হবে । সাথে অফিসের টেবিলের সাথেও ভালো লাগবে বলে আমার মনে হয় । এর আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এতে রয়েছে পাঁচটি হুইল । যেটি এই চেয়ারটিকে আরও বেশি সৌন্দর্যমন্ডিত করে রয়েছে । তাছাড়া স্টিলের তৈরি এই চেয়ারটি যে অনেকদিন ঠিক হবে সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না । 

আরামদায়ক: 

ওজনে যারা একটু বেশি ভারী । যারা অন্যান্য ক্লাস চেয়ারগুলিতে কমফোর্ট ফিল করেন না । তাদের জন্য এই চেয়ারটি অবশ্যই মনের মতন হবে । 

চেয়ারটির আর্ম রেস্ট অত্যন্ত এডজাস্টেবল । এটিকে চারদিকে এডজাস্ট করা যায় । উচু নিচু এবং সামনে পিছনে । যার ফলে আপনি আপনার হাতটিকে কোন সহজে কোন স্থানে আরামদায়ক ভাবে রাখতে পারবেন । উচ্চতা অনুযায়ী চেয়ার টি কে কেউ নিচু করার সুযোগ তো আছে ই । 

তবে এর কুশনটি তুলনামূলকভাবে পাতলা। তবে ইচ্ছে করলে এটি আপনারা পাল্টাতে পারবেন বা অতিরিক্ত প্যাড ভরে সুবিধামতন সাইজ বানাতে পারবেন । 

সত্যি বলতে চেয়ারটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । ছবিতে আপনারা যেরকম টা দেখেন বাস্তবে এটি দেখতে আরো অনেক বেশি সুন্দর । কারণ ছবিতে এর উচ্চতা কিংবা অন্যান্য উপাদানগুলো সঠিকভাবে বোঝা যায় না । এটিতে বসে গেমিং করে দুর্দান্ত একটি ফিল পাওয়া যায় । এর আরো একটি পজেটিভ দিক হচ্ছে এর লাইফ টাইম ওয়ারেন্টি । এই বাজেটের গেমিং চেয়ারগুলোতে সাধারণত তিন থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের ওয়ারেন্টি থাকে । সে দিক থেকে চেয়ার টি সবচেয়ে বেশি এগিয়ে । অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য মানানসই একটি চেয়ার । 

আর আপনি লম্বা উচ্চতার গেমার হন তাহলে আমি জোর করেই বলতে পারি যে এটি আপনার জন্য পারফেক্ট হবে। যাদের উচ্চতা কম তারা crank সিরিজের অন্য কোন চেয়ার পছন্দ করতে পারেন। যেহেতু আকৃতিতে একটু বড় তার জন্য এটি রাখতে যেমন বেশ জায়গা প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি স্থান পরিবর্তন করতেও সামান্য সমস্যা হয় । তাই সব দিক বিবেচনা করে বলতে পারি এটি কিনলে আপনি ঠকবেন না।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Related Articles